একজন আদর্শ চালকের যে সকল গুনাবলি থাকা প্রয়োজনঃ-
একজন আদর্শ চালকের যে সকল গুনাবলি থাকা প্রয়োজন তা নিম্নরুপঃ
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ একজন চালকের সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাশ এবং ভালোভাবে বাংলা ,ইংরেজি ভাষা পড়তে ও লিখতে পারা জরুরী কেননা বাস্তব জীবনে দেখা যায় যে ভাল শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পূর্ণ চালকের ড্রাইভিং পারফরমেন্স ভালো ।
ট্রাফিক রুলস মেনে চলাঃ শুধু দ্রুত ও ভালো গাড়ি চালালেই তাকে ভালো চালক বলে যায়না , বরং যারা রাস্তার সব সাইন ,মার্কিং ও বিধি বিধান মেনে যিনি গাড়ি চালান তাকেই প্রকৃত ও আদর্শ ড্রাইভার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
যান্ত্রিক জ্ঞানঃ ইঞ্জিন সম্পর্কে মৌলিক ধারণা রাখা একজন চালকে হওয়ার পুর্বশর্ত ,এটা না থাকলে কখনোই একজন ভালো ও আদর্শ চালক হওয়া যায়না । গাড়ির ব্রেকিং সিস্টেম , স্টার্টিং সিস্টেম, ফুয়েল সিস্টেম ,এসি সিস্টেম ,লুব্রিকেটিং সিস্টেম সহ অন্যান্য সিস্টেমের সাথে সম্পর্কিত পার্টস সমুহের নাম এবং সেগুলোর ব্যাপারে মৌলিক জানা থাকার পাশাপাশি ডিজেল ও পেট্রোল ইঞ্জিনের ভ্যাপার লক ও সেগুলোর প্রতিকার ,গাড়ির চাকা পরিবর্তন ইত্যাদি টুকিটাকি কাজ জানা থাকতে হবে ।
দায়িত্ববোধঃ একজন চালক হিসেবে আপনার দায়িত্ব অনেক , মনেকরি, যখন আপনি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে চলাফেরা করেন তখন আপনার জীবনের মুল্য ১ এবং যদি আপনি একজন বাসে চালক হিসেবে ড্রাইভিং করেন আর আপনার বাসের যাত্রি সংখ্যা ৪০ হয় তবে আপনার জীবনের মুল্য হবে ৪১ । তাই চালক হিসেবে নিজের ,গাড়িতে বসা যাত্রিদের এবং পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য সুন্দর সাবলীল ও নিয়ম কানুন মেনে গাড়ি চালাতে হবে । মনে রাখবেন চালকগণ হলো সড়কের মহা নায়ক ।
আত্মবিশ্বাসঃ যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আত্মবিশ্বাস ম্যাজিকের মত কাজ করে । অভিজ্ঞতার সাথে সাথে যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে ঠিক তেমন ভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও কম আত্মবিশ্বাস দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে । সুতারাং অতিরিক্ত এবং দুর্বল আত্মবিশ্বাস নিয়ে গাড়ি চালানো যাবেনা ।
folllow Us
ধৈর্যঃ ধৈর্য একটি মহৎ গুন । একজন চালক হিসেবে আপনাকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হবে এবং বিচক্ষণ ও উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে । রাস্তায় অধৈর্যের পরিচয় দেওয়া এবং প্রতিশোধ পরায়ণ হলে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে । তাই রাস্তায় যদি কেউ সাইড না দেয় তাহলে ধৈর্য হারিয়ে অভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো যাবেনা ।
Leave a Comment